ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ , ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুর শ্রীপুরে ৭৩ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-১৩ ২৩:৪৮:০৮
গাজীপুর শ্রীপুরে ৭৩ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। গাজীপুর শ্রীপুরে ৭৩ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।


মো: আবু সালেহ গাজীপুর শ্রীপুর।


গাজীপুর শ্রীপুরে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৩ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় তারা অকৃতকার্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নেওয়া ৫টি বিদ্যালয়ের ৭৩ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর সংশ্লিষ্ট বোর্ডে জমাই দেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিক-২ ট্রেডের ওই ৭৩ পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে।


অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ জন শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের, জৈনাবাজার আদর্শ কারিগরির ১২ জন, পেলাইদ আদর্শ বিদ্যালয়ের ২০ জন, তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন ও শ্রীপুর কারিগরি স্কুলের ৭ জন। 


পরীক্ষার্থীরা জানান, যথানিয়মে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তারা। কিন্তু কেন্দ্র থেকে অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে পাঠানো হলেও পাঠানো হয়নি ৭৩ পরীক্ষার্থীর এ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিক-২ এর নম্বর। ফলে চূড়ান্ত ফলাফলে তারা সবাই ফেল করেছে। ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে গতকাল রোববার শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। 


এ সময় তারা গণমাধ্যমকে বলেন, তারা সবাই ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। গত ১০ জুলাই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখতে পায় তাদের সব বিষয়ে ভালো রেজাল্ট হয়েছে। একমাত্র এ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিক-২ বিষয়ে অকৃতকার্য। এ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর ৪০। সবাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের জন্য অকৃতকার্য হয়েছে বলে দাবী করেন তারা।


পেলাইদ আদর্শ কারিগরি স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট কামরুল হাসান জানান, পরীক্ষার ফল দেখে হতবাক হয়েছি আমরা, বাচ্চারা এতো ভালো পরীক্ষা দেওয়ার পরও এ ফলাফল আসে কিভাবে? এ প্রতিষ্ঠানের ২০ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর জমা না দেওয়ায় এমনটি ঘটেছে।


কেন্দ্র সচিব সাহানা পারভীন বলেন, ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়েছে। সার্ভার সমস্যার কারণে হয়তো নম্বর জমা হয়নি। বোর্ডে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান হতে পারে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর বোর্ডে লোক পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছেন কেন্দ্রে কারও দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা। দায়িত্বে অবহেলা হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও একর্মকর্তা গণমাধ্যমকে আস্বস্ত করেন।






 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ